শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বগুড়ায় হৃদরোগ বিভাগের একজন চিকিৎসক ও কারাগারের এক রক্ষীসহ আরও ১০জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন সোমবার (১৮ মে)রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত দশ জনের মধ্যে মাত্র ৪জন ঢাকা ফেরত। বাকিরা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের নিজ নিজ বাড়ি, প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, ওই ১০জনকে নিয়ে বগুড়ায় এ পর্যন্ত মোট ৮৮জন কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত শনাক্ত হলেন। সোমবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে এ জেলার মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ১০জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
স্থানীয়ভাবে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বগুড়ার কাহালু উপজেলার ৪০ বছর বয়সী একজন কনস্টেবল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সমবয়সী একজন কনস্টেবল, বগুড়া কারাগারের ৩২ বছরের একজন কারারক্ষী, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ৪৪ বছরের একজন চিকিৎসক, বগুড়া সদরের ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও শেরপুর উপজেলা সদরে একটি ক্লিনিকে কর্মরত ২৬ বছরের একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান রয়েছেন।
ঢাকা ফেরত যারা করোনা পজিটিভ হয়েছেন তারা হলেন- জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার এলাকার ৫৫ বছরের এক ব্যবসায়ী, সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী এলাকার ২৭ বছরের এক যুবক, গাবতলী উপজেলার সোন্দাবাড়ী গ্রামে ৩৫ বছরের এক নারী ও বগুড়া সদরের ২৮ বছর বয়সী অপর এক যুবক। ওই দশজনের নমুনা গত ১৪ থেকে ১৭ মের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, স্থানীয়ভাবে আক্রান্তরা কোন না কোনভাবে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। কারারক্ষী কিভাবে আক্রান্ত হলেন সে সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়া কারাগারের জেল সুপারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন জানান, ওই রক্ষী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি বলেন, গায়ে জ্বর অনুভূত হওয়ার পর থেকেই তাকে কারাগারের ব্যারাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।